Breaking News

বাংলা ব্যাকরণ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর


••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
♥১)"নিঘন্টু" কী?
উত্তর - "নিঘন্টু" হল যাস্ক প্রণীত বৈদিক অভিধান। প্রাচীন ভারতীয় ব্যাকরণবিদ যাস্ক রচিত গ্রন্থ "নিরক্তু"-এর শেষে থাকা বৈদিক শব্দাবলির তালিকা হল "নিঘন্টু"।
♥২)অমর সিংহ রচিত অভিধান গ্রন্থের নাম লেখ।
উত্তর - অমর সিংহ রচিত "অমরকোষ" বা "নামলিঙ্গানুশাসন" প্রাচীন ভারতের একটি উন্নত অভিধান গ্রন্থ।
♥৩)"শব্দকল্পদ্রুম" কী?
উত্তর - ঊনবিংশ শতাব্দীতে রাজা রাধাকান্ত দেবের পৃষ্ঠপোষকতায় সংকলিত "শব্দকল্পদ্রুম" হল ভারতীয় অভিধান ধারার এক সমৃদ্ধ সংযোজন। এটি শুধু অভিধান নয়, এটি একটি বিশ্বকোষ।
♥৪)কে, কবে তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের আলোচনার সূত্রপাত করেন?
উত্তর - স্যার উইলিয়াম জোনস্ ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান আলোচনার সূত্রপাত করেন।
♠৫)বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত হয় কোথায় এবং কখন?
উত্তর - বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ইউরোপে এবং পরবর্তীকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণামূলক ভাষাবিজ্ঞান ভাষাবিজ্ঞান আলোচনার সূত্রপাত হয়েছিল।
♠৬)চমস্কি মস্তিষ্ককে কি বলেছেন?
উত্তর - চমস্কি মস্তিষ্ককে বলেছেন "ভাষা শেখার ব্যবস্থা" (Language Acquisition System, সংক্ষেপে L. A. S)।
♠৭)স্যোসুর কাকে "লাঙ্" (Langue) বলেছেন?
উত্তর - ভাষার নানা উপাদান এবং তাদের পরস্পরের সম্পর্কের মূল সংবিধি, ভাষার বিভিন্ন উপাদান এবং উপাদানগুলির পারস্পরিক সম্পর্কের জালবিন্যাসকেই স্যোসুর "লাঙ্" (Langue) বলেছেন।
♠৮)"পারোল" বলতে কি বোঝ।
উত্তর - ভাষার লাঙ্-সংবিধানগুলিকে মান্য করেও ভাষা ব্যবহারের উপাদান নির্বাচন ও প্রতিস্থাপনের মধ্যে দিয়ে নিজস্ব বিন্যাসে স্পষ্ট ও একই বাচনক্রিয়াকে "পারোল" বলে।
♦৯)ভারতে অভিধান লেখার সূচনা হয় কোন গ্রন্থের মাধ্যমে?
উত্তর - ভারতে অভিধান লেখার সূচনা হয় যাস্কের "নিরুক্ত" গ্রন্হ থেকে।
♦১০)অভিধানকে ভাষার কি জাতীয় বিভাগ বলা হয়?
উত্তর - অভিধানকে ভাষার সংযোগমূলক বিভাগ (Liaison Division) বলা হয়।
♦১১)একটি ইতিহাসভিত্তিক অভিধানের উদাহরণ দাও।
উত্তর - "The Shorter Oxford English Dictionary" হল একটি ইতিহাসভিত্তিক অভিধান।
♦১২)"Dictionary" কথাটির উল্লেখ প্রথম কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তর - "Dictionary" কথাটির উল্লেখ প্রথম পাওয়া যায় ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত থমাস এলিয়টের ল্যাটিন-ইংরেজি অভিধানে।
♣১৩)"ন্যূনতম শব্দজোড়" বলতে কি বোঝ। উদাহরণ দাও।
উত্তর - দুটি ভিন্ন শব্দের মধ্যে উচ্চারণগত ন্যূনতম (একটি মাত্র) পার্থক্য থাকলে, সেই শব্দজোড়কে বলা হয় "ন্যূনতম শব্দজোড়"। যেমন :- "আম" ও "জাম"।
♣১৪)"লোকনিরুক্ত" কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর - অপরিচিত শব্দ লোকমুখে পরিচিত শব্দের সাদ্যশ্যে ধ্বনি-পরিবর্তিত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করলে, সেই ধ্বনি পরিবর্তনকে বলা হয় "লোকনিরুক্ত"। যেমন :- "আর্মেচেয়ার > আরামকেদারা"।
♣১৫)"মুণ্ডমাল শব্দ" কী? উদাহরণ দাও।
উত্তর - কোনো শব্দগুচ্ছের প্রত্যেক শব্দ থেকে প্রথম ধ্বনিগুলি নিয়ে একটি শব্দ তৈরি হলে, তাকে বলে "মুণ্ডমাল শব্দ" (বা অ্যাক্রোনিস)। যেমন :- "VIP" (Very Important Person) , "ATM" (Automated Trailer Machine) , "পিপুফিশু" (পিঠ পুড়ছে, ফিরে শুই)।
♣১৬)"জোড়কলম শব্দ" কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর - "জোড়কলম" শব্দ হচ্ছে একাধিক শব্দের বিভিন্ন রূপমূল জুড়ে তৈরি এক নতুন রূপমূলের শব্দ। যেমন :- "ধোঁয়া + কুয়াশা = ধোঁয়াশা"।
♥১৭)"ক্লিপিংস" বা "সংক্ষেপিত পদ" কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর - বাংলা ভাষায় কখনো কখনো মূল শব্দের চেহারার পরিবর্তন ঘটে এবং শব্দটি আকারে ছোট হয়ে যায়, অথচ শব্দটির অর্থগত কোনো পরিবর্তন ঘটে না। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় "ক্লিপিংস" বা "সংক্ষেপিত পদ"। যেমন :- "টেলিফোন > ফোন", "এরোপ্লেন > প্লেন", "মাইক্রোফোন > মাইক"।
♥১৮)"বিকল্পন" কী? উদাহরণ দাও।
উত্তর - "বিকল্পন" পদ গঠনের এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে দুটি পদের পারস্পরিক সম্পর্কের ধ্বনিতাত্ত্বিক চেহারার রূপ স্বাভাবিক নিয়মের আদলে তৈরি হয় না, বরং ব্যতিক্রমী রূপ চোখে পড়ে। যেমন :- ইংরেজিতে ক্রিয়া পদের অতীতকাল চিহ্নিত করার নির্দিষ্ট সময় হল শেষে "ed" যোগ করা। কিন্তু "go" ক্রিয়া পদটির বেলায় "goed" হয় না, হয় "went"। তাই বলা যায় এখানে "বিকল্পন" ঘটেছে।
♥১৯)"ক্রেনবেরী রূপমূল" কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর - "ক্রেনবেরী রূপমূল" হল এমন এক ধরণের পরাধীন রূপমূল যার কোনো আভিধানিক অর্থ নেই এবং কোনো ব্যাকরণ সম্মত অর্থও থাকে না। অথচ একটি শব্দকে অন্য শব্দের থেকে পৃথক করতে পারে। যেমন :- "আলাপ", 'প্রলাপ", "বিলাপ", "সংলাপ" - এই শব্দগুলির "লাপ" অংশটি।
♥২০)রূপ (রূপমূল) ও দলের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
উত্তর :- রূপমূল হল শব্দের অর্থযুক্ত ন্যূনতম অংশ। অন্যদিকে, দল হল বাকযন্ত্রের একবারের চেষ্টায় উচ্চারিত পদের ন্যূনতম অংশ বিশেষ।
♠২১)ফাঁকা রূপ ও শূন্য রূপ কাকে বলে? উভয়ক্ষেত্রে উদাহরণ দাও।
উত্তর - এক ধরণের রূপ আছে যাদের কোনো মানে নেই। বাস্তবে তাদের কোনো অস্তিত্বও পাওয়া যায় না, এদের বলে ফাঁকা রূপমূল। যেমন :- "ব্যঙ্গমা-ব্যঙ্গমি"।
             আর এক ধরণের রূপ আছে যেগুলিকে চোখে দেখা না গেলেও বোঝা যায় আছে, এদের বলে শূন্য রূপমূল। যেমন :- "শূন্য বিভক্তি"।
♠২২)"থিসরাস" কী? উদাহরণ দিয়ে এবং বিস্তারিত ভাবে বুঝিয়ে দাও।
উত্তর - "থিসরাস" হল শব্দার্থের এমন এক রেফারেন্স বই, যেখানে অর্থ-সম্পর্কযুক্ত (সমার্থক বা বিপরীতার্থক) শব্দগুলিকে বর্ণানুক্রমে তালিকাবদ্ধ করা হয়।
                                  অথবা,
শব্দার্থের এই বিশাল জগতকে সুশৃঙ্খল ভাবে বিন্যাস করার একটি নিদর্শনই হল "থিসরাস"। "থিসরাস" শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল "রত্নাগার"। সংস্কৃত ভাষায় লিখিত "অমরকোষ" হল থিসরাসের উদাহরণ। ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে পিটার মার্ক রজেট এই ধরনের অভিধান রচনা করেন এবং ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে তা প্রকাশিত হয়। এই রজেটের থিসরাসই হল প্রথম আধুনিক থিসরাস। রজেট যাবতীয় শব্দকে অর্থ অনুযায়ী কতগুলি গুচ্ছে ভাগ করেছিলেন। ধরাযাক্, খুঁজতে হবে "Apple" শব্দটিকে। আমাদের মাথায় ফলটা থাকলেও নামটা মনে করতে পারছি না। সেক্ষেত্রে, থিসরাস "Fruits" গুচ্ছের মধ্যে অনায়াসে পাওয়া যাবে "Apple" শব্দটা (বা, ধরাযাক্, আমাদের মাথায় রয়েছে "শিউলি" ফুলটি, কিন্তু "শিউলি" শব্দটা মনে আসছে না। সেক্ষেত্রে, থিসরাসে "ফুল" শব্দ পরিমণ্ডলে বা শব্দগুচ্ছের মধ্যে অনায়াসে পেয়ে যাব "শিউলি")।
            অর্থাৎ, থিসরাস অভিধানের মতো শব্দের অর্থ বলেই খান্ত হয় না বা শব্দগুলি বর্ণানুক্রমিক ভাবে সাজানো থাকে না। থিসরাস হল এমন একটা রেফারেন্স বই, যেখানে কাছাকাছি অর্থের শব্দগুলি (সমার্থক হতে পারে আবার বিপরীতার্থকও হতে পারে) একটি গুচ্ছের মধ্যে থাকে। "Apple", "Orange", "Benana" ইত্যাদি শব্দগুলি সেক্ষেত্রে চলে আসবে "Fruits" গুচ্ছের মধ্যে। এর ফলে, সহজ হয়ে যাবে কোনো শব্দ খোঁজা বা তার সম্বন্ধে কোনো ধারণা তৈরি করা।
♠২৩)"লাঙ্" এবং "পারোল"-এর ধারণার উদ্ভাবক কোন ভাষাবিজ্ঞানী?
উত্তর - ভাষাবিজ্ঞানী ফের্দিনাঁ দ্য স্যোসুর (১৮৫৭-১৯১৩) "লাঙ্" এবং "পারোল" ধারণার উদ্ভাবক।
♠২৪)"ল্যাড" কাকে বলে?
উত্তর - নোয়াম চমস্কির মতে, মানুষের মাথায় যে "ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাকুইজিশন ডিভাইস" থাকে, যা মানুষের ভাষা বলার সহজাত ক্ষমতাকে উসকে দেয়, সেটাই সংক্ষেপে ল্যাড।
♦২৫)"অব্যবহিত উপাদান" কী?
উত্তর - বাক্যে অবস্থিত ঠিক আগে বা ঠিক পরে যে পদ বা পদগুচ্ছ থাকে, তাকে বলে "অব্যবহিত উপাদান"।
♦২৬)"সঞ্জননী ব্যাকরণ" কাকে বলে?
উত্তর - সমস্ত বাক্য কীভাবে সঞ্জাত হয়, তার সংবাদ যে ব্যাকরণ দেয়, তাকে বলা হয় "সঞ্জননী ব্যাকরণ"।
♦২৭)"সঞ্জননী ব্যাকরণ" পরিভাষার আগে "সংবর্তনী" শব্দ জোড়া হয় কেন?
উত্তর - নোয়াম চমস্কি প্রবর্তিত গবেষণারীতিতে বাক্য সঞ্জননের জন্য সংবর্তনকেও কাজে লাগানো হয়, সে কথা জানাতে "সঞ্জননী ব্যাকরণ"-এর আগে "সংবর্তনী" কথাটা জোড়া হয়।
♦২৮)সরল বাক্যে কয়টি উদ্দেশ্য এবং কয়টি বিধেয় থাকে?
উত্তর - সরল বাক্যে একটি উদ্দেশ্য এবং একটি বিধেয় থাকে।
♣২৯)"নব্যশব্দ প্রয়োগ প্রক্রিয়া" কী? উদাহরণ দাও।
উত্তর - দৈনন্দিন ভাষা-ব্যবহারের তালিকায় নতুন শব্দ ঢোকার প্রক্রিয়াকে বলে "নব্যশব্দ প্রয়োগ প্রক্রিয়া"। যেমন :- "ফেসবুক", "সেলফি", "অনলাইন" প্রভৃতি শব্দ শব্দভাণ্ডারে প্রবেশ করেছে।
♣৩০)"বর্গান্তর" কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর - কোনো বাক্যের একটি পদ অন্য বাক্যে অন্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হলে, তাকে বলে "বর্গান্তর"। যেমন :- "নির্মল" পদটি বিশেষ্য এবং বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বা, "রামবাবু একজন ধনী ব্যক্তি" - এখানে "ধনী" শব্দটি বিশেষণ। কিন্তু যখন "ধনীমাত্রেই অহংকারী হয়" - তখন "ধনী" কিন্তু বিশেষ্য পদ।
♣৩১)"সমন্বয়ী রূপমূল" কী? উদাহরণ দাও।
উত্তর - যে পরাধীন রূপমূল শব্দকে পদে পরিণত করে এবং তার পর অন্য কোনো রূপমূল তার সঙ্গে বসে না, তাকে বলে "সমন্বয়ী রূপমূল"। যেমন - "বিভক্তি"।
♣৩২)"নিষ্পাদক রূপমূল" কী?
উত্তর - যে রূপমূল শব্দকে নতুন শব্দে পরিণত করে, তাকে বলে "নিষ্পাদক রূপমূল"। এতে পদ-পরিবর্তন ঘটতে পারে, না-ও পারে। যেমন :- "প্রত্যয়", "উপসর্গ"।
♥৩৩)"দৈর্ঘ্য" কী? উদাহরণ দাও।
উত্তর - "দৈর্ঘ্য" বলতে সাধারণত বোঝায়া দলের উচ্চারণে স্বরধ্বনির দৈর্ঘ্য। বাংলায় বহুদল শব্দের স্বরধ্বনির তুলনায় একদল শব্দের স্বরধ্বনির দৈর্ঘ্য বেশি। যেমন :- "আমার" শব্দের "আ" অপেক্ষা "আম" শব্দের "আ"-এর দৈর্ঘ্য বেশি।
♥৩৪)"যতি" কাকে বলে?
উত্তর - আমাদের বাকপ্রবাহের ধারায় দুটি স্বনিমের মধ্যবর্তী বিরতিকে বা  শব্দসীমায় অপেক্ষাকৃত লম্বা ছেদকে, বলা হয় "যতি"।
♥৩৫)"শ্বাসাঘাত" কী? উদাহরণ দাও।
উত্তর - "শ্বাসাঘাত" হল একাধিক দলযুক্ত শব্দের কোনো একটি দলকে অপেক্ষাকৃত বেশি জোর দিয়ে উচ্চারণ করা। শ্বাসাঘাতের উপস্থিতি পুরো দল জুড়ে, কোনো নির্দিষ্ট ধ্বনিতে নয়। বাংলায় সাধারণত শব্দের প্রথম দলে শ্বাসাঘাতের উপস্থিতি দেখা যায়।
যেমন :- "শব্দ" (শব্+দ) ; এখানে "শব্"-এই শব্দটিতে শ্বাসাঘাত পড়েছে।
♥৩৬)"নাসিক্যীভবন" কী? উদাহরণ দাও।
উত্তর - কোনো ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্বাসবায়ু যদি একসাথে মুখ ও নাসিকা দিয়ে নির্গত হয় এবং তার ফলে যদি নাসাগহ্বরে অনুরনন সৃষ্টি হয়, তাহলে সেই ধ্বনিকে "নাসিক্য ধ্বনি" বলে। এর ফলে ধ্বনির মধ্যে স্বনিমীয় বিরোধ সৃষ্টি হয় ও অর্থের পার্থক্য ঘটে। যেমন :- "বাধা/বাঁধা" , "ধাধা/ধাঁধা"।
♠৩৭)"Linguistic" কথাটির অর্থ কী।
উত্তর - ভাষাবিজ্ঞান।
♠৩৮)"Phylology" কথাটির অর্থ কী?
উত্তর - ভাষাতত্ত্ব।
♠৩৯)"যুক্তধ্বনি" কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর - যে ব্যঞ্জন ধ্বধির সমাবেশগুলি শব্দের আদ্য অবস্থানে বা দলের আদিতে উচ্চারিত হতে পারে, সেগুলিকে "যুক্তধ্বনি" বলে। যেমন :- "স্প > স্পষ্ট" , "স্ফ > স্ফটিক" , "প্র > প্রাণ"।
♠৪০)"রূপিম বা রূপমূল" কাকে বলে? ইহা কয়প্রকার ও কী কী?
উত্তর -"রূপিম" বা "রূপমূল" হল এক বা একাধিক স্বনিমের সমন্বয়ে গঠিত এমন অর্থপূর্ণ ক্ষুদ্রতম একক, যা পৌনঃপুনিক এবং যার অংশবিশেষের সঙ্গে অন্য শব্দের ধ্বনিগত ও অর্থগত কোনো সাদৃশ্য নেই।
            ইহা দুই প্রকার। যথা - (ক) মুক্ত বা স্বাধীন রূপমূল এবং (খ) বদ্ধ বা পরাধীন রূপমূল।
♦৪১)"মিশ্র রূপমূল" কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর - দুটি মুক্ত বা স্বাধীন রূপমূলের সমন্বয়ে যখন একটি পদ তৈরি হয় এবং সেই পদের অর্থ শব্দে উপস্থিত দুটি রূপের অর্থের থেকে আলাদা ভাবে প্রকাশিত হয়, সেই রূপের সমবায়কে বলা হয় "মিশ্র রূপমূল"। যেমন :- "গঙ্গাফড়িং" , "শাসনকাল" , "গাংচিল"।
♦৪২)"জটিল রূপমূল" কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর - দুইয়ের বেশি রূপমূলের সমবায়কে, বলা হয় "জটিল রূপমূল"। যেমন :- 'জাতীয়তাবাদ" , "অসহযোগিতা" , "বহুবর্ণপাথর"।
♦৪৩)বাংলা ভাষায় দুই ব্যঞ্জনে এবং তিন ব্যঞ্জনে তৈরি গুচ্ছধ্বনির সংখ্যা কয়টি?
উত্তর - বাংলা ভাষায় দুই ব্যঞ্জনে এবং তিন ব্যঞ্জনে তৈরি গুচ্ছধ্বনির সংখ্যা যথাক্রমে ২০০+ এবং ৮ টি।
♦৪৪)বাংলা ভাষায় চার ব্যঞ্জনের গুচ্ছধ্বনি দিয়ে তৈরি একটি শব্দের উদাহরণ দাও।
উত্তর বাংলা ভাষায় চার ব্যঞ্জনের গুচ্ছধ্বনি দিয়ে তৈরি একটি শব্দ হল - "সংস্কৃত"।
♣৪৫)স্বনিম এবং রূপিমের দুটি পার্থক্য লেখ।
উত্তর - (ক) স্বনিম ভাষার ক্ষুদ্রতম একক, কিন্তু রূপিম (বা রূপমূল) তা না-ও হতে পারে।
(খ) স্বনিমের নিজস্ব কোনো অর্থ নেই, কিন্তু রূপিমের নিজস্ব একটা অর্থ থাকবেই।

No comments